চাঁদাবাজিতে বাঁধা দেয়ায় যুবনেতার উপরে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদ ও অপরাধীদের শাস্তি দাবি
– মুফতী আবু বকর সিদ্দীক
জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে একটি ফিটনেস বিহীন সরকার পেয়েছে জনগণ, যারা গণমানুষের ভাষা বুঝতে সক্ষম হয়নি। আমরা সন্ত্রাস, দূর্নীতি ও চাঁজাবাজমুক্ত একটি বাংলাদেশের জন্য লড়াই করেছিলাম, কিন্তু তা পাইনি। খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষকে এখনো চাঁদাবাজির শিকার হতে হতে হবে, এটা দুঃখজনক।
গতকাল জুরাইন এলাকায় রিকশা থেকে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ইসলামী যুব আন্দোলনের নেতা হামলার শিকার হয়েছেন, এটা দুঃখজনক। অবিলম্বে অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে এবং যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
জুরাইন সেতু মার্কেটের সামনে গতকাল ৭ অক্টোবর রাত সন্ধ্যায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, কদমতলী থানার দাওয়াহ ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতী আমীর হামজার উপর চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আজ ৮ অক্টোবর’২৫ ইং বুধবার বিকাল ৫ টায় ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ, কদমতলী থানার উদ্যোগে বিক্রমপুর প্লাজার সামনে শাখা সভাপতি আহমাদ আলী হাবীব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক মুফতী আবু বকর সিদ্দীক উপর্যুক্ত কথা বলেন।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭১ এর স্বাধীনতা অর্জন করার পর দীর্ঘ ৫৪ বছর পরও এদেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল পায়নি। বিশেষ করে ২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে এদেশের মানুষ মাদক, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের স্বপ্ন দেখেছিলো। কিন্তু দুঃখজনক বাস্তবতা হলো সেই আশার প্রতিফলন ঘটেনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনআকাঙ্খা পূরণে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। রক্ত ও জীবনের বিনিময়ে মানুষ যেই দূর্নাতিমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিল, সেই স্বপ্ন মুখ থুবড়ে পড়েছে।
একশ্রেণির দুর্নীতিবাজরা দেশটাকে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত করেছে। চিহ্নিত এই দুর্নীতিবাজদেরকে দেশের মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায়না।
প্রধান অতিথি তার আলোচনায় অন্তর্বর্তীকালীন সরাকারের কঠোর সমালোচনা করে বলেন, এই সরকার জন আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছিল একটি গুণগত পরিবর্তনের জন্য, কিন্তু এই সরকার তা করতে পারেনি। তারা বরং দূর্নীতিবাজদেরকে আষ্কারা দিয়ে চলছে।
তিনি বিদ্যমান নির্বাচন ব্যাবস্থার সমালোচনা করে আরো বলেন, সকল দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচার সৃষ্টি হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হলো বর্তমান নির্বাচনী ব্যবস্থা। এই ব্যবস্থার সংস্কার করে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে।
বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহ-সভাপতি মুফতী শওকত উসমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের জয়েন্ট সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক, আইম্মা পরিষদ নেতা মুফতি রফিকুল ইসলাম আশরাফী, যুবনেতা কে এম নাসির উদ্দীন, কদমতলী থানা পশ্চিমের সহ-সভাপতি হাজী দেলাওয়ার হোসন, সেক্রেটারি মুহাম্মদ মিজানুর রহমান প্রমুখ।
– সংবাদ বিজ্ঞপ্তি







