ধর্মনিরপেক্ষতার ধ্বজাধারী ভারতে আজ মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকার ভূলুণ্ঠিত। গুজরাটের কশাই খ্যাত নরেন্দ্র মোদির সরকার ঐতিহাসিক মসজিদ ও মুসলিম স্থাপনা নিয়ে নীল নকশা বাস্তবায়নে নেমেছে। তারা ঐতিহাসিক বাবরি মসজিদের পর এবার ভারতের উত্তরাখণ্ডে রাম মন্দিরের জায়গা দাবি করে মসজিদ উচ্ছেদ শুরু করেছে। সেখানে মুসলিম বসতিগুলোতে অগ্নিসংযোগ করে মুসলিম হত্যার নির্মম খেলায় মেতেছে সরকার। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ক্ষমতালীপ্সু মোদি সরকার এসব বন্ধ করে মুসলিমদের অধিকার ফিরিয়ে না দিলে তাকে করুণ পরিণতি বরণ করতে হবে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতে মুসলিম হত্যা ও মসজিদ উচ্ছেদের প্রতিবাদে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ও সেক্রেটারি জেনারেল মুফতি মানসুর আহমদ সাকী গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, ঐতিহাসিকভাবে ভারতের উন্নয়নের পেছনে মুসলিমদের অবদান অনস্বীকার্য। মুসলিম শাসকরাও ভারতকে সমৃদ্ধ করেছেন। ভারতের ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলো এর উজ্জ্বল স্বাক্ষী বহন করে। কিন্তু মোদী সরকার হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে হিন্দু-মুসলিম সহাবস্থান নষ্ট করতে চায়। কতিপয় উগ্র হিন্দুকে উষ্কে দিয়ে সে বসে বসে এই রামলীলা দেখছে! এগুলো মেনে নেয়া যায় না।
নেতৃদ্বয় বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ইসলাম ও মুসলিমদের অধিকার নিয়ে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর নিরবতা দেখলে অবাক হতে হয়। তারা যেন নিয়ন্ত্রিত যান্ত্রিক রোবট! ফিলিস্তিন, ভারত এবং আরাকানের মুসলিম নির্যাতন তারা দেখতে পায় না। কারো ক্ষমতা স্থায়ী নয়। অন্যায় প্রশ্রয়দাতাদের একদিন পরাজয় হবে। মুসলিমরা ঘুরে দাঁড়াবে ইনশাআল্লাহ।